জবরদখলকৃত বনভূমির তথ্যাদি
টাঙ্গাইল বন বিভাগে মোট ৩৭২৪০.২১ (মে/২০২৪ পর্যন্ত) বনভূমি জবরদখলকৃত। সখিপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশী বনভূমি জবরদখল হয়েছে এবং এর পরিমাণ ২৬,০৪৮ একর এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত ৯১৪৭.২৫ একর বনভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে মধুপুর উপজেলার বনভূমি। এখানে মোট জবরদখলকৃত বনভূমির পরিমাণ ১৯,৮৬১.৯৫ একর এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত ৫০৭৪.৪০ একর বনভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া মির্জাপুর উপজেলায় জবরদখলকৃত বনভমির পরিমান ৩,৯৬৬.৫০ একর এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত উদ্ধারকৃত ২৬১.১৭ একর বনভূমি; ঘাটাইল উপজেলায় জবরদখলকৃত বনভমির পরিমান ৮,৫৫৪.০০ একর এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত উদ্ধারকৃত ৭০২৪.০৮ একর বনভূমি এবং কালিহাতী উপজেলায় জবরদখলকৃত বনভূমির পরিমান ৩৪২.৯৫ একর এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত উদ্ধারকৃত ২৭.০০ একর বনভূমি। জবরদখলকৃত বনভূমি সাধারণত বসতবাড়ীর জন্য বেশী ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়া স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, গীর্জা ইত্যাদি উপাসনালয়, দোকানপাট, হাটবাজার, কবরস্থান, শ্মশাণ, রাস্তাঘাট, কৃষিভূমিতে রূপান্তরসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। নতুন বনায়ন ও মিস কেস (উচ্ছেদ মামলা) দায়েরের মাধ্যমে জবরদখলকৃত বনভ‚মি পূনরুদ্ধারের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। বিগত ৫ (পাঁচ) বছরে জবরদখল পুনরুদ্ধারকৃত বনভূমির পরিমাণঃ ২০১৫-১৬আর্থিক সনে ২৮৬.৩০ একর; ২০১৬-১৭ আর্থিক সনে ৩০৮.৭৫ একর; ২০১৭-১৮ আর্থিক সনে ২৩৪.৬৫ একর; ২০১৮-১৯ আর্থিক সনে ৫৬৮.১০ একর, ২০১৯-২০ আর্থিক সনে ১,০৫৫.৬৮ একর, ২০২০-২১ আর্থিক সনে ৮৬১.৩৯ একর, ২০২১-২২ আর্থিক সনে ৪৫০.৯২ একর এবং ২০২২-২৩ আর্থিক সনে ৫৪২.০৮ একর। চলতি ২০২৩-২৪ আর্থিক সনে ৪৪৩.৫০ (মে/২৪ পযর্ন্ত) একর বনভূমি জবরদখল উদ্ধার করা হয়েছে, উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে । প্রতি বছর অনুন্নয়ন এবং প্রকল্পের আওতায় প্রাপ্ত বাজেট বরাদ্দ অনুযায়ী জবরদখলকৃত বনভূমি পর্যায়ক্রমে পুনরুদ্ধার করে তথায় সামাজিক বনায়নের আওতায় অংশীদারীত্বের ভিত্তিতে স্বল্প মেয়াদী বনায়ন কার্যক্রম চলমান আছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের “১০০ কার্যদিবসের অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনা” বাস্তবায়নের টাঙ্গাইল বন বিভাগের উচ্ছেদ প্রস্তাব প্রেরণের লক্ষ্যমাত্রা ১৮,০৬৪.০০ একর । উল্লেখ্য যে, মার্চ/২৪ মাসে ১০,২৬৭.২৯ একর বনভূমির বিপরীতে ১৮৫টি, এপ্রিল/২৪ মাসে ৮৩৪.১৪ একর বনভূমির বিপরীতে ৬৩টি, মে/২৪ মাসে ৩,৩৮৩.৪০ একর বনভূমির বিপরীতে ২৮৬টি উচ্ছেদ প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনে ইতোপূর্বে প্রেরণ করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবশিষ্ট জবরদখলকৃত বনভূমির বিপরীতে উচ্ছেদ প্রস্তাব প্রেরণ করা হবে। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং মাঠ পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট সকলে সক্রিয় আছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস