Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

টাঙ্গাইল বন বিভাগের পটভূমি

পটভূমি

টাঙ্গাইল বন বিভাগ প্রাচীন ভারতর্বষের ঐতহ্যিবাহী পত্রঝরা শাল বনাঞ্চল হিসেবে পরিচিত। এ বনভূতিতে শালগাছ (Shorea robusta) মুখ্য উদ্ভিদ প্রজাতির বনের শ্রেণীবিন্যাসে শালবনকে গ্রীষ্মমন্ডলীয় র্আদ্রপত্রঝরা বনাঞ্চলের  (Tropical Moist Deciduous Forest) অর্ন্তভূক্ত করা হয়। ভূ-প্রকৃতি ভূতাত্তিক গঠন, জলবায়ু এবং মৃত্তিকার ধরন শালবনের বিস্তৃতিতে ভূমিকা রাখে শালবন প্রধানতঃ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-র্পূব এশিয়ার হিমালয়ের পাদদেশব্যাপী আসাম থেকে পাঞ্জাব র্পযন্ত এবং মধ্য ভারতের কয়েকটি জেলাসহ পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় বিস্তৃত। নেপালে রয়েছে মোট ৮.৫ লক্ষ হেক্টরের বেশি এ বন।

 

বাংলাদেশে মোট শালবন এলাকা প্রায় ১,২১,০০০ হেক্টর যা দেশের বনভূমির ২.৪%। শালবন দেশের মাত্র কয়কেটি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ছড়ানো। এই বনাঞ্চলের বেশির ভাগ অংশই রয়েছে গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলায়। এটি ভাওয়ালের গড় ও মধুপুরের গড় নামে পরিচিত। বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলের শালবন এলাকা সবচেয়ে বড়, ব্রহ্মপুত্র এবং যমুনা নদীর মাঝে উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত এ বনভূমির দৈর্ঘ্য  প্রায় ৯৬ কি.মি. এবং চওড়া ৮ থেকে ২৪ কি.মি.। এছাড়া কুমিল্লা জেলায় এবং দেশের উত্তর অঞ্চলের দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, রংপুর এবং রাজশাহী জেলাতেও বিক্ষিপ্তভাবে কিছু শালবন বিদ্যামান। টাঙ্গাইল বন বিভাগ বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার বানার নদী ও টাঙ্গাইল জেলার বংশী নদী দিয়ে  বিভক্ত। এটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ১০০ কি.মি. উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত। এর অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ যথাক্রমে ২৪+১৪′৫৯″ উঃ এবং ৮৯+৫৪′৫৯″পূঃ এবং সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে গড় উচ্চতা ১৭ মটিার।

 

শাল গাছের উচ্চতাধারণত ২৫ মিটার পর্যন্ত হয় এবং শীতকালে অধিকাংশ গাছের পাতা ঝরে যায়। এর কাঠ শক্ত ও টেকসই। ভাল জাতের শালকাঠ বাড়িঘর তৈরি, বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুঁটি, নৌকা ও রেলের স্লিপার তৈরি এবং অন্যান্য নির্মাণ কাজে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। শালগাছের কান্ড শাল দামার, রাল অথবা ধুম নামে পরিচিত এবং এটি এক ধরনের সুগন্ধি আঠার উৎস। এ আঠা নৌকার ছিদ্র বন্ধ করতে, কার্বন পেপার, টাইপ করার যন্ত্রের ফিতা, বার্নিশ এবং রং তৈরির উপাদান হিসেবে কাজে লাগে। ত্বকের রোগ নিরাময়ে প্রলেপ হিসেবে এর ব্যবহার রয়েছে। এছাড়া এর বীজ থেকে সংগৃহীত তেল ভোজ্য তেল হিসেবে এবং শুকনা ফলের গুঁড়া ভেষজ ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। খাবারের প্লেটের বিকল্প হিসেবে শালগাছের পাতার ব্যবহার দেখা যায়।