Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে

টাঙ্গাইল বন বিভাগ- প্রশাসনিক পরিচিতি

১৯৬৮ইং সনে ময়মনসিংহ বন বিভাগ হতে গেজেট বিজ্ঞপ্তি নং সেক ওও এফ ৩৬/৬৭/৮৫৬ তারিখ ২১/১০/১৯৬৭ ইং মূলে টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল, কালিহাতী, মির্জাপুর ও সখিপুর উপজেলার বনভূমি ও বনাঞ্চল নিয়ে টাঙ্গাইল বন বিভাগ গঠিত হয়। পরবর্তীতে গেজেট বিজ্ঞপ্তি নং-শা-২/বন/৮৫/৮৮/৪১৫ তারিখ ১০/০৮/১৯৮৮ ইং মূলে টাঙ্গাইল জেলাধীন মধুপুর বনাঞ্চল  বন এ বন বিভাগের আওতাভূক্ত হয়।

অধিক্ষেত্রঃ টাঙ্গাইল বন বিভাগের সার্বিক দায়িত্বে থাকেন উপবন সংরক্ষক পদমর্যাদার একজন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, তাঁকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য তিনজন সহকারী বন সংরক্ষকের পদ রয়েছে। প্রশাসনিক সুবিধার্থে টাঙ্গাইল বন বিভাগের বনভূমি/বনাঞ্চল মোট ৯টি রেঞ্জ, ০৯ টি রেঞ্জের আওতাধীন ৩৪ টি বিট, ৩টি সামাজিক বনায়ন নার্সারী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ৯টি উপজেলা সামাজিক বনায়ন কেন্দ্রে ভাগ করা হয়েছে। এছাড়া বনজদ্রব্য পরিবহণ জনিত অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য হাটুভাঙ্গা ফরেষ্ট চেক ষ্টেশন, করটিয়া বাইপাস বন শুল্ক ও পরীক্ষণ ফাঁড়ি এবং চাড়ালজানি বিট কাম চেক স্টেশন চালু আছে।

 

রেঞ্জ ভিত্তিক প্রশাসনিক ইউনিট, বনভূমি, বন বাগান ইত্যাদির বিবরণ

ট্ঙ্গাাইল বন বিভাগের ৯টি রেঞ্জ হলো- টাঙ্গাইল সদর রেঞ্জ,ধলাপাড়া রেঞ্জ, হতেয়া রেঞ্জ, বহেড়াতলী রেঞ্জ, বাঁশতৈল রেঞ্জ, অরণখোলা রেঞ্জ, মধুপুর রেঞ্জ, দোখলা রেঞ্জ ও মধুপুর জাতীয় উদ্যান সদর রেঞ্জ।

 

 

          

     বাঁশতৈল রেঞ্জ

রেঞ্জের আয়তনঃ ১৪,৩৭৪.০৬ একর

বিট/ক্যাম্পের নাম,সংখ্যা ও এরিয়া (একর)ঃ 

প্রাকৃতিক বনের পরিমাণ ৬০৬৩.৮৭ একর

সামাজিক বনের পরিমাণ ১৬৫৩.৭৮ একর

উপকারভোগীর সংখ্যাঃ ৩২৩৪ জন

জবরদখলকৃত বনভূমির পরিমাণঃ ৬৬২৫.৯১ একর

জবরদখলকারীর সংখ্যা ৪৮৬৪ জন

দর্শনীয় স্থানের নাম ও বিবরণঃ নলুয়া প্রস্তাবিত ইকোপার্ক

সদর বিট

2922.33

 

 

পাথরঘাটা

2464.85

 

 

নলুয়া

4769.7

 

 

 

বংশীনগর

1922.55

 

 

হাটুভাঙ্গা

1040.48

 

 

কুড়িপাড়া

1254.06

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

          হতেয়া রেঞ্জ

 

রেঞ্জের আয়তনঃ ১৪,৮৬৮.৩৭ একর

বিট/ক্যাম্পের নাম,সংখ্যা ও এরিয়া (একর)ঃ

প্রাকৃতিক বনের পরিমাণ ১৪৮২.০০একর

সামাজিক বনের পরিমাণ ৪১৯৮.১৩একর

অন্যান্য প্রজাতির বাগান-সেগুন, বেত,

পশুখাদ্য, ঔষধিঃ ১৯২.৬৬ একর

উপকারভোগীর সংখ্যাঃ ৫৪৪৯ জন

জবরদখলকৃত বনভূমির পরিমাণঃ ৭১০৮.৬৩ একর

জবরদখলকারীর সংখ্যা ৬৩৪০জন দর্শনীয় স্থানের নাম ও বিবরণঃ প্রাকৃতিক শালবন

সদর বিট

2139.70

 

বাজাইল

2135.14

 

কড়ই চালা

2572.23

 

কালমেঘা

2511.97

 

কালিদাস

5509.15

 

 

 

 

 

 

 

 

          বহেড়াতলী রেঞ্জ

সদর বিট

3320.49

কাকড়াজান

4526.96

ডি.বি.গজারিয়া

4521.92

এম.এম. চালা

2382.58

কচুয়া

6126.81

রেঞ্জের আয়তনঃ ২০,৮৭৮.৭৬ একর

বিট/ক্যাম্পের নাম,সংখ্যা ও এরিয়া (একর)ঃ

প্রাকৃতিক বনের পরিমাণ ৪৬২১.৫০একর

সামাজিক বনের পরিমাণ ৪৩৭১.৫৫একর

অন্যান্য প্রজাতির বাগান-সেগুন ২৫ একর

উপকারভোগীর সংখ্যাঃ ৬২৩০ জন

জবরদখলকৃত বনভূমির পরিমাণঃ ৪২২৪.৮৪একর

জবরদখলকারীর সংখ্যা ৩৫৯৬ জন

দর্শনীয় স্থানের নাম ও বিবরণঃ বহেড়াতলী বাসুলিয়া জলাভূমি/বিল

                                                                                            

 

 

ধলাপাড়া সদর বিট

5173.97

দেওপাড়া

1489.74

সাগরদিঘী

6082.77

ঝড়কা

4238.61

বটতলী

6894.10

চৌরাশা ক্যাম্প

1841.44

শালিয়াবহ ক্যাম

1912.70

চেরাভাঙ্গা ক্যাম্প

983.69

    ধলাপাড়া রেঞ্জ

রেঞ্জের আয়তনঃ ২৫,৭২০.৬৩ একর

বিট/ক্যাম্পের নাম,সংখ্যা ও এরিয়া (একর)ঃ

প্রাকৃতিক বনের পরিমাণ ১৬১০৭.০৬ একর

সামাজিক বনের পরিমাণ ৭৭২৬.৪৩ একর

অন্যান্য প্রজাতির বাগান-সেগুন, বেত

পশুখাদ্য, ঔষধিঃ ২২০.৩৭একর

উপকারভোগীর সংখ্যাঃ ৮১১১ জন

জবরদখলকৃত বনভূমির পরিমাণঃ ১৬৬৬.৭৭একর

জবরদখলকারীর সংখ্যা ৫৪০৫ জন

দর্শনীয় স্থানের নাম ও বিবরণঃ দেওপাড়া ক্যাম্পের প্রাকৃতিক বন ও জলাভূমি

       

 

 

      মধুপুর রেঞ্জ

রেঞ্জের আয়তনঃ ৫,৮৮০.৪৬ একর

চাড়ালজানী

3575.76

মহিষমারা

2304.70

বিট/ক্যাম্পের নাম,সংখ্যা ও এরিয়া (একর)ঃ 

প্রাকৃতিক বনের পরিমাণ ৩০১.৩৪ একর

সামাজিক বনের পরিমাণ ২৩২৯.৬৫ একর

অন্যান্য প্রজাতির বাগান-সেগুন, আগর, বাঁশ, বেত

পশুখাদ্য, ঔষধিঃ ৩৯৫.১৯ একর

উপকারভোগীর সংখ্যাঃ ১৮৮১ জন

জবরদখলকৃত বনভূমির পরিমাণঃ ৩২০৫.২৫ একর

জবরদখলকারীর সংখ্যা ২৯৭৮ জন

দর্শনীয় স্থানের নাম ও বিবরণঃ টাঙাইল-ময়মনসিংহ সড়কের পাশের্^ প্রাকৃতিক শালবন

 

 

       অরণখোলা রেঞ্জ

রেঞ্জের আয়তনঃ১০৭.০০

বিট/ক্যাম্পের নাম, সংখ্যা ও এরিয়া (একর)ঃ 

প্রাকৃতিক বনের পরিমাণ ০ একর

সামাজিক বনের পরিমাণ ৭৭১.৭৫ একর

অরণখোলা সদর

907.0

অরণখোলা সদর      ৯০৭.০

অন্যান্য প্রজাতির বাগান-সেগুন ২৫ একর

উপকারভোগীর সংখ্যাঃ ৭৫৩ জন

জবরদখলকৃত বনভূমির পরিমাণঃ ৪৬.৪৩ একর

জবরদখলকারীর সংখ্যা ২০২ জন

 

 

 

     দোখলা রেঞ্জ

রেঞ্জের আয়তনঃ ১৮,৪৮৪.১৪ একর

বিট/ক্যাম্পের নাম,সংখ্যা ও এরিয়া (একর)ঃ ০২

প্রাকৃতিক বনের পরিমাণ ২৪৫৫.৩৬ একর

দোখলা সদর

11598.16

চানপুর

6885.98

সামাজিক বনের পরিমাণ ২৬২০.৬৭ একর

অন্যান্য প্রজাতির বাগান-সেগুন, আগর, বাঁশ, বেত

পশুখাদ্য, ঔষধিঃ ৯৯৬.৫০ একর

উপকারভোগীর সংখ্যাঃ ২৮২০ জন

জবরদখলকৃত বনভূমির পরিমাণঃ ১২৪১১.৬১ একর

জবরদখলকারীর সংখ্যা ৩৩৯১ জন

দর্শনীয় স্থানের নাম ও বিবরণঃ বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজরিত দোখলা রেষ্ট হাউজ, পিকনিক স্পট, ওয়াচ টাওয়ার, ভিজিটরস’ সেন্টার, শিশু পার্ক ও শাল বন।

 

 

মধুপুর জাতীয় উদ্যান সদর রেঞ্জ

রেঞ্জের আয়তনঃ ১৫,৬১৫.৭৩ একর

সদর বিট

3996.38

রাজাবাড়ী

2440.45

বেরীবাইদ

4058.38

লহড়িয়া

3561.60

গাছাবাড়ী

1558.92

বিট/ক্যাম্পের নাম,সংখ্যা ও এরিয়া (একর)ঃ ০৫

প্রাকৃতিক বনের পরিমাণ ৪০০০.০০ একর

সামাজিক বনের পরিমাণ ৪৫৬.৯৫ একর

অন্যান্য প্রজাতির বাগানঃ আগর, বাঁশ, বেত

পশুখাদ্য, ঔষধিঃ ৬৯৩.২৫একর

উপকারভোগীর সংখ্যাঃ ৫৬৯ জন

জবরদখলকৃত বনভূমির পরিমাণঃ ৩৪৬৫.৬৯ একর

জবরদখলকারীর সংখ্যা ১৭৬১ জন

দর্শনীয় স্থানের নাম ও বিবরণঃ রেষ্ট হাউজ, কর্টেজ,  পিকনিক স্পট, ওয়াচ টাওয়ার, লহরিয়া হরিণ প্রজণন কেন্দ্র, বেরীবাইদ বন্যপ্রাণীর বিচরণ ক্ষেত্র, আরবোরেটাম বাগান  ও শাল বন।

 

(২) সামাজিক বনায়ন নার্সারী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ০৩টি। এগুলো হলো- কালিহাতি সামাজিক বনায়ন নার্সারী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কোদালিয়া সামাজিক বনায়ন নার্সারী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং মধুপুর সামাজিক বনায়ন নার্সারী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।

(৩) উপজেলা নার্সারী কেন্দ্র ০৯টি। এগুলো হলো- দেলদুয়ার, নাগরপুর, মির্জাপুর, বাসাইল, ঘাটাইল, ভূয়াপুর, গোপালপুর, ধনবাড়ী ও সখিপুর উপজেলা নার্সারী কেন্দ্র।

 

জনবল (সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী)

 

টাঙ্গাইল বিভাগের অনুকুলে ১৫৮-বন খাতে পূর্বে (এনাম কমিটি সুপারিশ অনুযায়ী) বিভিন্ন পদে ২২৭টি মঞ্জুরী ছিল। বর্তমানে অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী বিভিন্ন পদে ১৯৬টি এবং সমাপ্তকৃত সবুজ বেষ্টনী প্রকল্প, ঝুমিয়া পুনর্বাসন প্রকল্প ও এফ.আর.এম প্রকল্প হইতে স্থানান্তরিত পদ সহ মোট ২২৭টি পদের মঞ্জুরী পাওয়া যায়। মঞ্জুরীকৃত পদের বিপরীতে ১৮৫ জন নিয়োজিত আছেন এবং ৪২টি পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন পদে এ বিভাগে ৫ জন কর্মকর্তা/কর্মচারী প্রেষণে নিয়োজিত আছেন।

উপ-বন সংরক্ষক

সহকারী বন সংরক্ষক

ফরেস্ট রেঞ্জার

ডেপুটি রেঞ্জার

দাপ্তরিক কর্মচারী

ফরেস্টার

বন  প্রহরী

বাগান মালী

অফিস সহায়ক

ড্রাইভার

অন্যান্য

মোট

০১ জন

০৩ জন

১২ জন

১০ জন

১২জন

৩৭ জন

৮৭ জন

৩১ জন

১০ জন

০২ জন

২২ জন

২২৭ জন

টাঙ্গাইল বন বিভাগের বনভূমি

 

টাঙ্গাইল বন বিভাগের আওতায় মোট ১,২২,৮৭৬.৯০ একর বনভূমি রয়েছে। তন্মধ্যে ৬৪,৬৭০.৬২ একর বন আইন, ১৯২৭ এর ২০ ধারা মোতবেক সংরক্ষিত বনভূমি এবং অবশিষ্ট ৫৮,২০৬.২৮ একর অধিগ্রহণকৃত/অর্পিত ৪ ও ৬ ধারায় গেজেট বিজ্ঞপ্তিত বনভূমি যা ২০ ধারায় সংরক্ষিত বনভূমি ঘোষণার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

উপজেলা ভিত্তিক বন ভূমির পরিমাণ

জেলা

উপজেলা

সংরক্ষিত বন (একরে)

প্রস্তাবিত সংরক্ষিত বনভূমি যাহা ৪ ও  ৬ ধারায় বিজ্ঞপ্তিকৃত (একরে)

মোট বনভূমি (একরে)

মৌজার সংখ্যা

টাঙ্গাইল

মির্জাপুর

৭,২৭৫.৯৩

৩০০.৪৩

৭,৫৭৬.৩৬

২১টি

-ঐ-

সখিপুর

৩৮,২৮১.৪৫

৮,৯৩৯.১৫

৪৭,২২০.৬০

৫১টি

-ঐ-

কালিহাতী

১৯১.০২

৪৬৮.২৭

৬৫৯.২৯

০৩টি

-ঐ-

ঘাটাইল

৭,২৫১.০১

১৪,৬০৪.৪৬

২১,৮৫৫.৪৭

৪৯টি

-ঐ-

মধুপুর

১১,১৭১.২১

৩৩,৮৯৩.৯৭

৪৫,৫৬৫.১৮

১৮টি

মোট

 

৬৪,৬৭০.৬২

৫৮,২০৬.২৮

১,২২,৮৭৬.৯০

১৪২টি

 

টাঙ্গাইল বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন রেঞ্জ ভিত্তিক বনভ‚মির পরিমাণ

ক্রঃ নং

রেঞ্জের নাম

উপজেলার নাম

সংরক্ষিত বনভূমি পরিমাণ (একর)

প্রস্তাবিত সংরক্ষিত বনভ‚মি যাহা ৪ ও ৬ ধারায় বিজ্ঞপ্তিকৃত (একর)

মোট বনভূমি একর

ধলাপাড়া

ঘাটাইল, সখিপুর

১০,৯৪৩.৭১

১৪,৭২৬.৫৪

২৫,৬৭০.২৫

হতেয়া

সখিপুর

১৩,০০৪.৩৯

৩,৮৭৬.২৯

১৬,৮৮০.৬৮

বহেড়াতৈল

সখিপুর, কালিহাতী

১৫,৮১৪.৮৮

৬,১২৮.৭১

২১,৯৪৩.৫৯

বাঁশতৈল

মির্জাপুর, সখিপুর

১৩,৫৯৭.৫২

৪৯২.৪৬

১৪,০৮৯.৯৮

মধুপুর

মধুপুর

২,১৬৫.০৫

৩,৭৩০.২৪

৫,৮৯৫.২৯

অরনখোলা

মধুপুর

-

৪,৮২০.১৭

৪,৮২০.১৭

দোখলা

মধুপুর

২,১৫৯.৭৫

১৬,৩৪৩.৮৫

১৮,৫০৩.৬০

জাউস

মধুপুর

৬,৯৮৫.৩২

৮,০৮৮.০২

১৫,০৭৩.৩৪

মোট

   

৬৪,৬৭০.৬২

৫৮,২০৬.২৮

১,২২,৮৭৬.৯০

 

টাঙ্গাইল বনবিভাগাধীণ বনভূমি ব্যবস্থাপনা, বনাঞ্চল সংরক্ষণ ও উন্নয়ন সংক্রান্ত তথ্যাদি

 

১। আটিয়া বন (সংরক্ষণ) অধ্যাদেশ, ১৯৮২ (THE ATTIA FOREST (PROTECTION) ORDINACE, 1982) এর প্রেক্ষাপট ও বর্তমান প্রয়োজনীয়তা

 

টাঙ্গাইল বন বিভাগের অধীন সর্বমোট ১৪২ টি মৌজা রয়েছে। তম্মধ্যে ৭২টি মৌজা সামগ্রিকভাবে বনভূমি। বাকী ৭০টি মৌজায় বনভূমির সাথে ব্যক্তিমালিকানাধীণ জমি রয়েছে। এ বন বিভাগের বনভূমিতে রয়েছে নানাবিধ সমস্যা। এখানে বনবিভাগের ভূমি রেকর্ড হয়েছে ব্যক্তির নামে, ব্যক্তির জমিও কিছু রেকর্ড হয়েছে বন বিভাগের নামে। এখানে রয়েছে  বনভূমি জবরদখলের প্রকট সমস্যা, স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাথে বনভূমি নিয়ে বিরোধ, ৪ ও ৬ ধারায় ঘোষিত প্রস্তাবিত সংরক্ষিত বনভূমিকে ২০ ধারায় সংরক্ষিত বনভূমি ঘোষনার প্রক্রিয়ায় বিলম্ব ইত্যাদি।  

 

সপ্তদশ শতাব্দীতে মোঘল সম্রাট করটিয়ার পন্নী পরিবারকে আটিয়া পরগনার ফরেষ্ট (টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও গাজীপুর জেলার বনাঞ্চল) জায়গীর হিসাবে প্রদান করেন। ব্রিটিশ আমলে প্রণীত সূর্যাস্ত আইন এর অধীনে নাটোরের মহারাজা উক্ত আটিয়া এবং আট আনি এষ্টেট ক্রয় করেন।

 

বৃটিশ আমলে টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও ঢাকা (Attia  Forest) জেলার আটিয়া পরগনার অধীন আটিয়া ফরেস্ট (Protectet Forest) বিভিন্ন জমিদারদের মালিকানাধীন সম্পত্তি ছিল। কিন্তু বনাঞ্চলের দুই-তৃতীয়াংশের অধিক এলাকার মালিকগণ বনের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব তৎকালীন বৃটিশ সরকারকে গ্রহণ করতে অনুরোধ জানায়। সে প্রেক্ষিতে তৎকালীন “গভর্ণর-ইন-কাউন্সিল” আটিয়া ফরেস্ট এলাকাভূক্ত অঞ্চলকে ১৮৭৮ সালের ভারতীয় বন আইনের সেকশন-২ এ বর্নিত বিধান অনুযায়ী “রক্ষিত বন” (Reserved Forest) হিসাবে ঘোষণা করেন। উপরোক্ত বন এলাকাকে তৎকালীন “গভর্ণর-ইন-কাউন্সিল” ১৮৭৮ সালের ভারতীয় বন আইনের সেকশন-৪ অনুসারে ২৩-০৯-২৫ তারিখে নোটিফিকেশনের মাধ্যমে “সংরক্ষিত বন” (জবংবৎাবফ ঋড়ৎবংঃ) হিসাবে ঘোষণা করেন। পরে এ ব্যাপারে ১৯২৭ সনের বন আইনের ২০ ধারা অনুসারে একটি চুড়ান্ত নোটিফিকেশন জারী করা হয়। সে মোতাবেক টাঙ্গাইল জেলায় ৫৫,৪৭৬.৩৮ একর, ময়মনসিংহ জেলায় ৩,৪৪৫.১৮ একর ও গাজীপুর জেলায় ৭২৬.৬৪ একর, মোট ৫৯,৬৪৮.২০ একর ভূমি Attia Reserved Forest এলাকা হিসাবে গঠিত হয়।

 

The Indian Forest Act, 1878 (Act VII of 1878) এর বিধান মতে আটিয়া এলাকার বনভূমি Reserved Forest ঘোষণার প্রক্রিয়া শুরু হয়। উক্ত প্রক্রিয়ার কার্যক্রম চুড়ান্ত হওয়ার পূর্বে The Forest Act, 1927 (Act XVI of 1927) প্রবর্তন করা হয় এবং এ বন আইনের ২০ ধারায় চুড়ান্তভাবে আটিয়া বনকে Reserved Forest ঘোষণা করা হয়। ১৯২৭ সনের বন আইনের ২০ ধারা অনুযায়ী জবংবৎাবফ ঋড়ৎবংঃ ঘোষনায় পদ্ধতিগত ক্রটি রয়েছে মর্মে ঢাকা হাইকোর্টের মোকদ্দমা নং-১১৬২/১৯৫৮-এর রায়ে উল্লেখ করা হয়। হাইকোর্টের রায় পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, নোটিফিকেশন নং-১৬৭৩৫-16735-For dated 09/06/1928 মূলে যে সংরক্ষিত বন ঘোষণা করা হয়, সেই সংরক্ষিত বন ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয় Notification No.588-T.R dated 23th September, 1925 (Published on Page 1614 of Calcutta Gazette Part I Dated October 15, 1925) জারীর মাধ্যমে। কিন্তু মহামান্য হাইকোর্ট বারবার সময় প্রদান করা সত্বেও কোর্টের সামনে সরকার পক্ষ শেষোক্ত নোটিফিকেশনের মূল কপি প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়। সংশ্লিষ্ট এলাকার জনসাধারণ মহামান্য হাইকোর্টের উল্লেখিত রায়ের প্রেক্ষিতে Attia Reserved Forest কে হুমকির মুখে ফেলে দেন। উল্লেখিত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ১৯২৭ ও ১৯২৮ সালে ঘোষিত Attia Reserved Forest এর আওতাভূক্ত ভূমির মালিকানা দাবী করে দেওয়ানী আদালতে মোকদ্দমা রুজু করতে থাকেন। এর প্রেক্ষিতে তৎকালীন জিপি, টাঙ্গাইল সরকারের বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষায় Attia Reserved Forest যাতে আইনগতভাবে রক্ষিত হয় সে বিষয়ে জেলা প্রশাসক, টাঙ্গাইলকে অবহিত করেন। জেলা প্রশাসক, টাঙ্গাইল জিপি এর আইনগত মতামত পরীক্ষান্তে সরকারী স্বার্থ রক্ষায় একটি নতুন আইন জারী করার নিমিত্ত ০৬/০৪/১৯৭৯ তারিখে ভূমি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেন। এরই প্রেক্ষিতে ১০/০৭/১৯৮০ তারিখে একটি বিল প্রনয়ণ করা হয়। বিলটি জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা সম্ভব না হওয়ায় উক্ত বিলের অনুসরণে ০৭/০৯/১৯৮২ তারিখে তৎকালীন প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক The Attia Forest (Protection) Ordinance,1982 জারী করেন।

 

১৯২৭ সালের বন আইনের ২০ ধারার বিধান অনুযায়ী ১৯২৭-২৮ সালে ২৫টি প্রজ্ঞাপন জারীর মাধ্যমে টাঙ্গাইল বন বিভাগের সখিপুর, মির্জাপুর, কালিহাতী, ঘাটাইল ও মধুপুর উপজেলার ৫৫,৪৭৬.৩৮ একর বনভূমি সংরক্ষিত বন ঘোষণাসহ নিম্নবর্ণিত ছক মোতাবেক মোট ৫৯,৬৪৮.২০ একর বনভূমি সংরক্ষিত বন ঘোষণা করা হয়।

 

ক্রঃ নং

জেলা

বন বিভাগ

থানাওয়ারী বনভূমির পরিমাণ (একর)

মোট বনভূমির পরিমাণ (একর)

 

 

 

 

টাঙ্গাইল

 

 

 

 

টাঙ্গাইল বন বিভাগ

 

 

 

 

সখিপুরঃ ৩৮,২৩২.২৮

 

 

 

 

মির্জাপুরঃ ৭,২৭৫.৯৩

কালিহাতীঃ ১৯১.০২

ঘাটাইলঃ ৭,২৫১.০১

মধুপুরঃ ২,৫২৬.১৪

= ৫৫,৪৭৬.৩৮

ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ বন বিভাগ

ফুলবাড়িয়াঃ ৩,৪৪৫.১৮

=  ৩,৪৪৫.১৮

গাজীপুর

ঢাকা বন বিভাগ

কালিয়াকৈরঃ ৭২৬.৬৪

726.64

 

 

 

                    সর্বমোট =

=   ৫৯.৬৪৮.২০

 

১৯২৭ সালের বন আইনের ২০ ধারার বিধান অনুযায়ী ১৯২৭-২৮ সালে ২৫টি প্রজ্ঞাপন জারীর পর ১৯৩২-১৯৩৬ সন পর্যন্ত ৬টি গেজেট মূলে টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বন বিভাগের আটিয়াভূক্ত ১,৩২৮.১০ একর সংর্িক্ষত বনভূমি ডি-রিজার্ভ করে বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নামে প্রদান করা হয় এবং স্থানীয় জমিদারদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে ১৬,৩৮৭.৯৭ একর বনভূমি শুধুমাত্র জমিদারদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনার শর্তে Dereserved করা হয়, যা আটিয়া অডিন্যান্স মাধ্যমে সংরক্ষিত বনভূমি হিসাবে পূর্ণবহাল করা হয়। নোটিফিকেশনের ভাষায় মর্মানুযায়ী Dereserved বনভূমি জমিদার ব্যতিরেকে অন্য কোন ব্যক্তির অনুকূলে বন্দোবস্ত বা পত্তনির মাধ্যমে হস্তান্তরের সুযোগ ছিল প্রতীয়মান হয় না। অধিকন্তু পঞ্চাশের দশকে  East Pakistan Private Forest Ordinance, 1949 এর ৭ ধারার বিধান অনুযায়ী জমিদারের অধীন বনভূমিকে (আটিয়া বন ব্যাতীত) সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষণ, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বন বাগান সৃজন, সংরক্ষণ ও পরিচর্যার উদ্দেশ্যে জমিদারদের সম্মতির ভিত্তিতে ব্যবস্থাপনার জন্য পুনরায় ১০০ (একশত) বৎসরের জন্য গেজেট নোটিফিকেশন মূলে বন বিভাগের নিকট অর্পন (Vested) করা হয়।  এমতাবস্থায়, আটিয়া অধ্যাদেশভূক্ত বনভূমির কিছু অংশ Dereserved করা হলেও এ সব বনভূমির ব্যবস্থাপনা পরবর্তীতে বন অধিদপ্তরের উপর ন্যাস্ত হওয়ায় উক্ত বনভূমি পত্তন মূলে ব্যক্তি মালিকানায় যাওয়ার বিষয়টি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এমতাবস্থায়, জনগন জঙজ মূলে আটিয়া অধ্যাদেশভূক্ত জমির যে মালিকানা দাবী করেছেন তা আইনের চোখে গ্রাহ্য নয়। সর্বোপরি বর্ণিত ভূমি ইষ্ট বেঙ্গল এষ্টেট একুইজিশন এন্ড টেনানসি এ্যাক্ট (জমিদারী প্রথা উচ্ছেদ ও প্রজাসত্ব আইন নামে পরিচিত), ১৯৫০ এর ২০ (ক২) ধারার বিধান মতে  সরকার অধিগ্রহণ (Acquired) করেন।

 

আটিয়া অধ্যাদেশের মূল অংশ হলো, “বলবৎ অন্য কোন অইনে অথবা কোন রায়, ডিক্রী বা আদেশে যা কিছুই থাকুক না কেন, তফসিলে উল্লেখিত প্রজ্ঞাপনের অধীনে ৫৯,৬৪৮.২০ (টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ) একর ভূমি নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত বন যা আটিয়া বন নামে পরিচিত, উহার প্রজ্ঞাপনে বা গঠনে কোন ক্রটি থাকলেও তা সঠিকভাবে সংরক্ষিত বন হিসাবে ঘোষিত হয়েছে বলে গণ্য হবে। এ ব্যাপারে দেওয়ানী, ফৌজদারী ও রাজস্ব আদালতে এবং হাইকোর্ট বিভাগ ও আপীল বিভাগে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না”।

 

এ অধ্যাদেশ জারীর অব্যবহিত পূর্বে সরকারের বা সরকারের কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যেকোন আদালতে রুজুকৃত সকল মোকদ্দমা, আপীল দরখাস্ত, আবেদনপত্র অথবা অন্য কোন আইনানুগ কার্যক্রম যাতে উক্ত সংরক্ষিত বন গঠন বা প্রজ্ঞাপন সম্পর্কে কোনরূপ প্রশ্ন করা হয়েছে তা রদ হবে এবং আর অগ্রসর হবে না। উক্ত আটিয়া অর্ডিন্যান্সটি বিদ্যমান বনাঞ্চল সংরক্ষণে তথা সরকারী স্বার্থ রক্ষায় সরকারের একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ ছিল। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, আটিয়া ফরেষ্ট অধ্যাদেশটি যুগোপযোগী করে সংশোধিত আকারে প্রনয়ণের নিমিত্ত তৎকালিন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় কর্তৃক একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত কমিটির নির্দেশনা মোতাবেক আটিয়াভূক্ত সংরক্ষিত বনের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে মাঠ পর্যায় হতে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতঃ কমিটির নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। তাছাড়া উক্ত বনভূমিতে বসবাসরত জবরদখলকারীদের নাম ঠিকানা, ভূমির পরিমানসহ মৌজা ভিত্তিক পুর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করতঃ করা হয়েছে। আটিয়াভূক্ত বনভূমিতে সৃজিত সামাজিক বনায়নে সম্পৃক্ত উপকারভোগীদের নামের তালিকা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রেরিত ছক মোতাবেক প্রনয়নের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীণ আছে।

 

The Attia Reserved Forest (Protection) Ordinance, 1982  ঘোষিত হওয়ার পর সংক্ষুদ্ধ হয়ে কোন কোন মহল উক্ত সংরক্ষিত বন এলাকায় ব্যক্তিগত অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য উচ্চতর আদালতের শরণাপন্ন হয়। আপীল মোকদ্দমা নং-২২/১৯৭০ এর রায়ের অনুসরণে সিভিল আপীল নং-১৭২/১৯৮৩ আপীলকারী সরকার বনাম শমশের আলী খান ও অন্যান্য Respondent এর মামলায় মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ (বিচারপতি এফ,কে,এম মুমীন, বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরী, বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ (সাবেক রাস্ট্রপতি) সমন্বয়ে গঠিত) ২৪/০৫/১৯৮৫ তারিখে রায় প্রদান করেন। প্রদত্ত রায়ে The Attia Reserved Forest (Protection) Ordinance, 1982 (Ordinance No. XXXIII of 1982) এর ৩ ও ৪ ধারা সম্পর্কে উভয় পক্ষের বক্তব্য পরীক্ষান্তে উল্লেখিত ধারা সমূহে কোন ক্রটি পরিলক্ষিত হয় নাই বলে উল্লেখ রয়েছে।

 

পরবর্তীতে জনাব হুমায়ুন খান পন্নী, সাবেক ডেপুটি স্পীকার মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন নং- ১৩৪৯ অব ১৯৯৪ দায়ের করেন। বিজ্ঞ উচ্চতর আদালত কর্তৃক শুনানী অন্তে আটিয়া অধ্যাদেশের স্বপক্ষে রায় প্রদান করা হয়।

 

আটিয়া অধ্যাদেশের ৩ এবং ৪ ধারার বিধান অনুযায়ী আটিয়া বনভূমি পরিপন্থি যাবতীয় দলিল রায়, ডিক্রি এবং আদেশ আইনতঃ অচল ও অকার্যকর করা হয়েছে। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের মহামান্য আপীল্যান্ট ডিভিশন আটিয়া ফরেস্ট প্রোটেকশন অর্ডিন্যান্সের স্বপক্ষে অভিমত প্রদান করেছেন (DLR 40 পৃষ্ঠা ২০২-২০৫)। ১৯৮২- ৮৬ পর্যন্ত সামরিক শাসন আমলের কতিপয় অধ্যাদেশ বাতিল ঘোষণা হলেও জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট অডিন্যান্স সমূহ “১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হতে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জারীকৃত কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকরকরণ (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১৩” এর মাধ্যমে বহাল রাখা হয়। উক্ত জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট অডিন্যান্স সমুহের তালিকার ১৩ নং ক্রমিকে ‘দি আটিয়া ফরেস্ট প্রোটেকশন অর্ডিন্যান্স’ অন্তর্ভূক্ত রাখা হয়েছে।

 

ইতোপূর্বে ১৯৯৮ সনে আটিয়া বন (সংরক্ষণ) অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর প্রেক্ষিতে উদ্ভুত সমস্যা নিরসন কল্পে কি করণীয় সে সম্পর্কে সরকার কর্তৃক জনাব আলতাফ হোসেন, সাবেক অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব), ঢাকাকে আহবায়ক করে ১২ (বার) সদস্য বিশিষ্ট একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়। আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি কর্তৃক সরেজমিনে পর পর সাত বার  সভা করে হয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মতামত গ্রহণ করেন।

কমিটি কর্তৃক সরেজমিনে পরিদর্শন, স্থানীয় জনগণের সাথে আলোচনা এবং সাতটি সভায় মিলিত হয়ে সংশ্লিষ্ট আইন, রেকর্ড  এবং অন্যান্য কাগজপত্র পুংখানুপুংখভাবে পর্যালোচনা পূর্বক বাস্তব অবস্থার নিরীখে মতামত/সুপারিশসমূহ ২৬ অক্টোবর, ১৯৯৮ তারিখ সরকারের বিবেচনার জন্য পেশ করেন।

 

কমিটির সুপারিশ/ মতামত ঃ 

                                                                                  

(১) আটিয়া অধ্যাদেশ জারী হওয়ার পর দেশের সর্বোচ্চ আদালতসহ অন্যান্য আদালতে আদেশটির বৈধতা সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা হলেও সর্বোচ্চ আদালতসহ অন্যান্য আদালত আদেশটির কোন ক্রটি দেখেন নাই। ফলে প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত অধ্যাদেশের আইনগত কোন ক্রটি ছিল না।

 

(২) আটিয়া বন (সংরক্ষণ) অধ্যাদেশ, ১৯৮২ ভূক্ত বনভূমি, ১৯৬২ সনের এস,এ রেকর্ডের সময় জনগণের নামে রেকর্ড হয়েছে বলে দাবী করা হয়। কিন্তু ১৯২৭ ও ১৯২৮ সনে জারীকৃত বিভিন্ন রিজার্ভেশন নোটিফিকেশন, ১৯৩৪ সনে জারীকৃত ডি-রিজার্ভেশন নোটিফিকেশন, পরবর্তীতে পঞ্চাশের দশকে জারী কৃত East Bengal Private Forest Ordinance. 1949-এর ৭ ধারা অনুবলে জারীকৃত নোটিফিকেশন এবং সর্বোপরি East Bengal State Acquisition and Tanancy Act, ১৯৫০ এবং বিশেষতঃ উক্ত আইনের ২০ (২এ) ধারা পর্যালোচনায় দেখা যায় যে জনগণের নামে এই সব এস,এ রেকর্ডের কোন আইনগত বৈধতা নেই। অতএব, জনগণ কর্তৃক ROR মূলে মালিকানা দাবী গ্রহণযোগ্য নয়।

 

(৩) আটিয়া বন (সংরক্ষণ) অধ্যাদেশ, ১৯৮২ ভূক্ত ভূমির উপর জনগণের মালিকানা সংক্রান্ত দাবী গ্রহণযোগ্য না হলেও উক্ত অধ্যাদেশভূক্ত বনভূমিতে কয়েক হাজার লোক বহুদিন যাবত অবৈধভাবে বসবাস করে আসছে। এমতাবস্থায়, আটিয়া অধ্যাদেশভূক্ত ভূমি থেকে এসব লোককে উচ্ছেদ না করে তাদেরকে সম্পৃক্ত করণের মাধ্যমে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচী গ্রহণ করা যেতে পারে এবং/অথবা এ সকল জনগণকে সরকারী আশ্রয়ন প্রকল্প অথবা আদর্শ গ্রাম প্রকল্পের আওতায় এনে বন বিভাগের জমিতে (যেখানে বন নেই) একত্রীভূত ভাবে বসবাসের সুযোগ দেয়া যেতে পারে। তবে কোন অবস্থাতেই যেন নতুন করে কোন ব্যক্তি বনভূমিতে প্রবেশ না করতে পারে সে ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

 

 (৪) বন বিভাগ কর্তৃক ইতোপূর্বে গৃহীত সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম জনগণের নিকট অধিকতর গ্রহণযোগ্য করার নিমিত্তে  সামাজিক বনায়নের আওতায় যে সব রোপিত গাছের বয়স ইতোমধ্যে আবর্তকাল অতিক্রান্ত করেছে সে সব গাছ কর্তন পূর্বক কর্তিত গাছের হিস্যা অবিলম্বে অংশীদারদের মধ্যে বন্টন করা একান্ত প্রয়োজন।

 

বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে অর্ধেকের কম জেলায় সরকারী বনভূমি রয়েছে। টাঙ্গাইল জেলা বাংলাদেশের প্রায় মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত এবং টাঙ্গাইল জেলা হতে বাংলাদেশের উত্তর সীমান্ত পর্যন্ত সরকারী বনাঞ্চল খুবই নগণ্য। তাই টাঙ্গাইল জেলার বনাঞ্চল দেশের জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিজে এবং তাদের দোসরদের বনভূমি জবরদখলে সহায়তা করার নজীর পাওয়া যায়। জলবায়ুর বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় উক্ত জবরদখলকৃত বনভূমি উদ্ধার পূর্বক বনায়নের আওতায় আনা অতীব জরুরী।

 

 

 

২। দিয়ারা জরিপ

১৯৭৫ হতে ১৯৮৫ সন পর্যন্ত দিয়ারা জরিপের সময় সখিপুর উপজেলার ১৩ টি মৌজার ১৭,৯৩৭.৯০ একর সরকারী বনভূমি ব্যক্তির নামে রেকর্ড প্রদান করা হয়েছে যার মধ্যে ১৩,৫৭৩.৫৮ একর বনভূমি বন আইন, ১৯২৭ এর ২০ ধারায় ‘সংরক্ষিত বনভূমি’ ঘোষিত অর্থাৎ এ বনভূমি আটিয়াভূক্ত সংরক্ষিত বনভূমি এবং ৪,৭৮১.১৭ একর ৪, ৬ ও ৭ ধারায় ঘোষিত প্রস্তাবিত সংরক্ষিত বনভূমি। উক্ত বনভূমির বিষয়ে আইনগতভাবে সরকারী গেজেট ও রেকর্ডপত্রসহ যথাসময়ে আপত্তি দাখিল এবং অফিসিয়াল পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। সে প্রেক্ষিতে জনাব মীর্জা মোঃ আল ফারুক, যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাপতিত্বে বিগত ০৫/০৪/২০০০ তারিখ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সি,এস; এস,এ ও দিয়ারা জরিপের রেকর্ড পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিস্তারিত আলোচনার পর ১৯৭৫-১৯৮৫ সনের দিয়ারা জরিপ সংক্রান্ত গৃহীত যাবতীয় কার্যক্রম বাতিল করে আটিয়া বন (সংরক্ষণ) অধ্যাদেশ, ১৯৮২ এর আলোকে পুনরায় নতুনভাবে জরিপের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন এবং তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ইতোপূর্বে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং-ভূঃমঃ/শা-২/রেঃ সংশোধন-১৮/২০০১-২২৯ তারিখ:১৯/০৪/২০০৯ ইং মূলে উক্ত দিয়ারা জরিপ বাতিলের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মহা পরিচালক, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরকে অনুরোধ করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে তাগিদপত্র প্রদান করা হয়েছে। সর্বশেষ ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত উচ্চ পর্যায়ের আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি কর্তৃক গত ০১/০৯/২০১৯ খ্রি. তারিখ সখিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্টদের শুনানী গ্রহণ করা হয়েছে এবং টাঙ্গাইল বন বিভাগের মতামত সম্বলিত প্রতিবেদন কমিটির নিকট লিখিত আকারে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

বর্তমানে টাঙ্গাইল বন বিভাগের অধিক্ষেত্রাধীন মোট ১,২২,৮৭৬.৯০ একর বনভূমির মধ্যে প্রায় ৩৯,০০০.০০ একর বনভূমি জবরদখলকৃত। কয়েক যুগ পূর্ব হতে স্থানীয় বন নির্ভর জনগোষ্ঠী এবং স্বার্থান্বেসী মহল সরকারী বনভূমি জবর দখল করে সেস্থানে বাড়ী ঘর, রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হাট বাজার, মসজিদ, মাদ্রাসা, গোরস্থান, শ্মশাণ ইত্যাদি তৈরী করে ভোগদখল করে আসছে এবং পতিত বনভূমি জবরদখল করে তথায় ফসলাদি আবাদ করে আসছে। তাদের বংশ বৃদ্ধির কারণে জবরদখলের মাত্রাও পর্যায়ক্রমে বেড়েছে। সরকারী বনভূমি জবরদখলের প্রবনতা দেশ বিভাগের পরে বেশী মাত্রায় ঘটেছে। পরবর্তীতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সুযোগে এবং রাজনৈতিক ছত্রছায়ায়ও কিছু বনভূমি জবরদখল হয়েছে।

 

৩। ফরেষ্ট সেটেলমেন্ট অপারেশন (সংরক্ষিত বনভূমি ঘোষণার কার্যক্রমের অগ্রগতি)

 

টাঙ্গাইল বন বিভাগের আওতাধীন অর্পিত এবং পরবর্তীতে অধিগ্রহণকৃত বনভূমিকে “সংরক্ষিত বনভূমি” ঘোষণার লক্ষ্যে বন আইনের ৪(গ) ধারা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক, টাঙ্গাইলকে ফরেষ্ট সেটেলমেন্ট অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা হয়। তদানুযায়ী ফরেষ্ট সেটেলমেন্ট অফিসার ও জেলা প্রশাসক, টাঙ্গাইল কর্তৃক বন আইনের ৬ ধারার  বিধান মতে ১৯৮৩ ও ১৯৮৪ সনে ৩টি গেজেটের মাধ্যমে নোটিশ জারী করা হয়েছে।

 

 

৬ নং ধারায় নোটিশ জারীর পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জণসাধারণের নিকট হতে ২,২০৯টি আপত্তি পাওয়া যায়। এ সকল আপত্তির শুনানীর জন্য নোটিশ জারী করা হয় শুনানীর পর অদ্যাবধি ০৮টি কেসে ৩৭.৫৫ একর বন বিভাগের বিপক্ষে যাওয়ায় তা বিচারাধীন আছে।

 

উল্লেখ্য ভুমি মন্ত্রণালয়ের স্বারক নং-ভূঃমঃ(শা-৩(আইন)/১১/০৪ (অংশ-১) ৯৩৭ তারিখ১২/০৭/২০১১ ইং এর নির্দেশনা অনুযায়ী গত ২৭/০৯/২০১১ ইং তারিখে টাঙ্গাইল জেলা মনিটরিং কমিটির সভায় কাজের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ইতোপূর্বে অত্র কার্যালয়ের পত্র নং ৩১০৮/৮-৬২ তারিখ ৩১/১০/২০০৬ ইং মূলে সি.এস দাগ অনুসারে ৪৪,২০৭.৭৭৫ একর এবং পত্র নং ৩২৭৬/৮-৬২ তারিখ ২১/০৮/২০০৮ ইং মূলে সি.এস দাগের পাশাপাশি আর.এস দাগ নম্বর সহ ২৯৯.৬৫ একর বনভূমি ২০ ধারায় রিজার্ভ ঘোষণার তাগিদপত্র জেলা প্রশাসক, টাঙ্গাইল ও ফরেষ্ট সেটেলমেন্ট অফিসার এর কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে সখিপুর উপজেলার ৪৯.১৭ একর এবং ২০১৬ সালে মধুপুর উপজেলার ৯১৪৭.০৭ একর ৪. ৬ ধারার বনভূমি বন আইনের ২০ ধারায় সংরক্ষিত বনভূমি ঘোষণা করা হয়েছে।

 

 

৪। বনভূমির সাথে জনগণের মালিকানাধীণ জমির সীমানা চিহ্নিত করণ কাজের অগ্রগতি

টাঙ্গাইল বন বিভাগের অধীন সর্বমোট ১৪২টি মৌজা রয়েছে। তন্মধ্যে ৭২টি মৌজা সামগ্রিকভাবে বনভূমি। বাকী ৭০টি মৌজার ১,২০৩টি দাগে প্রায় ২১,০০০.০০ (একুশ হাজার) একর বনভূমি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির সাথে সংযুক্ত রয়েছে। উক্ত ১,২০৩টি দাগের মধ্যে ৩৮টি দাগের জমির সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তাগণ সংশ্লিষ্ট কানুনগো এবং সহকারী কমিশনার (ভুমি) এর সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করছে। স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে সার্বিক সহযোগিতা পাওয়া গেলেও এই বিশেষ জরিপ কাজে ভূমি জরিপ বিভাগকে সরকারী স্বার্থ রক্ষাকল্পে আরো সময় দেয়া প্রয়োজন।

 

টাঙ্গাইল বন বিভাগের বনভূমি বিভিন্ন ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির সহিত সংযুক্ত এবং বিক্ষিপ্ত ভাবে বিদ্যমান। এরূপ সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে সীমানা পিলার স্থাপনের মাধ্যমে ২০০৩-০৪ সন হতে ২০০৫-০৬ সন পর্যন্ত “বনভূমি ব্যবস্থাপনা ইউনিট (১ম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১০,৬৮৬.০০ একর বনভূমি জরিপের মাধ্যমে চিহিৃত করতঃ ৮,০০০টি পিলার স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে প্রকল্পটি চালু থাকে নাই। ২০১১-১২ অর্থ বছরে অনুন্নয়ন মধুপুর রেঞ্জে ৩৭টি, ধলাপাড়া রেঞ্জে ৩৫টি, হতেয়া রেঞ্জে ৩৫টি, বাঁশতৈল রেঞ্জে ৩৫টি ও বহেড়াতলী রেঞ্জে ৪০টি অর্থাৎ মোট ১৮২টি আরসিসি পিলার তৈরী পূর্বক বনভূমির সীমানায় স্থাপন করা হয়েছে। গত ২০১১-১২ সনে ২০১১-১২, ২০১২-১৩ ও ২০১৩-১৪ অর্থ বছরের জন্য ৩ (তিন) বছর মেয়াদী অত্র বন বিভাগের আনুমানিক ২০,০০০.০০ (বিশ হাজার) একর বনভূমির সীমানা চিহিৃত করণ কাজে প্রায় ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) টি আরসিসি পিলার এবং সীমানা নির্ধারণ কাজে প্রশিক্ষিত জনবল নিয়োগ, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয় ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যয় সম্বলিত একটি খসড়া বাজেট প্রেরণ করা হয়। বাজেট বরাদ্দের অভাবে সীমানা চিহ্নিত কাজ সম্পন্ন হয় নাই।

 

টাঙ্গাইল বন বিভাগের উপজেলা ও মৌজা ভিত্তিক বনভূমির পরিমাণ এবং চলমান বি,এস জরীপে বন বিভাগের নামে রেকর্ড হওয়া এবং না হওয়া বনভূমির বিবরণ

 

জেলার নাম

উপজেলার নাম

মৌজার নাম

মোট বনভূমির পরিমান (একর)

বন বিভাগের নামে রেকর্ডের পরিমান (একর)

বন বিভাগের নামে রেকর্ড হয় নাই এমন বনভূমির পরিমান (একর)

গৃহীত ব্যবস্থা

টাঙ্গাইল

মির্জাপুর

ডৌহাতলী

১৩৫.৪৩

১৩৫.৪৩

-

(১) বনভ‚মি অন্যের নামে রেকর্ডের ব্যাপারে বন বিভাগ কর্তৃক প্রয়োজনীয় ডিসপিউট/ আপত্তি দায়ের করা হয়েছে এবং অন্যের জমি ৭০৭.১৪ একর বন বিভাগের নামে রেকর্ডের ব্যাপারে ব্যক্তি কর্তৃক রেকর্ড সংশোধনী মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা আদালতে বিচারাধীন অছে।

তরফপুর

৩৪৫.৪৩

*৩৭৫.৪৮

-

বাঁশতৈল

১২০.০৮

১০৬.৭৪

১৩.৩৪

বংশীনগর

৮৭১.৬৯

৮৩৬.৮১

৩৪.৮৮

গায়রাবেতিল

২,৪১৩.০৫

*২,৪৭৯.৬০

-

বেলতৈল

২৬৮.৬৯

২২১.১৬

৪৭.৫৩

ছিটমামুদপুর

২০২.৪২

১৯০

১২.৪২

নয়াপাড়া

১২১.৯৬

১২০.২৬

১.৭

আমড়াতৈলী

২৯.০৫

২৯.০৫

-

হরিতকিতলা

১০৮.৩৭

৯৫.৪১

১২.৯৬

কুড়াতলী

৭৫.৯

৭৩.১

২.৮

ঘাগরাইল

২১৯.৬৭

২১৭.৬২

২.০৫

(২) সখিপুর উপজেলার    অন্তর্গত ১৩টি মৌজার মোট ১৭,৯৬১.৭৬ একর বনভূমি ১৯৭৫ হইতে ১৯৮৫ সন পর্যন্ত পরিচালিত দিয়ারা জরিপের সময় অন্যের নামে রেকর্ড  দেয়া হয়েছে। তম্মধ্যে চলমান বি,এস জরিপে ১,৬৬৭.৩৮ একর বন বিভাগের নামে রেকর্ড দেয়া হয়েছে।  অবশিষ্ট ১৬,২৯৪.৩৮ একর চলমান জরীপের আওতা বহিভর্‚ত রাখা হয়েছে।

অন্যের জমি বন বিভাগের নামে রেকর্ডের তথ্য ৫নং ক্রমিকে * চিহ্ন দেয়া আছে।

ব্যক্তির জমিসহ গেজেট বিজ্ঞপ্তিত বনভূমি বন বিভাগের নামে রেকর্ডের তথ্য ৬নং ক্রমিকে দেখানো হয়েছে।

দিয়ারা জরিপে বনভূমি অন্যের নামে  রেকর্ড প্রদান করায় ভূমির মালিকানা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন কল্পে ভূমি মন্ত্রণালয় কর্র্তক সর্বশেষ গঠিত উচ্চ পর্যায়ের আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি কর্তৃক সর্বশেষ গত ০১/০৯/২০১৯ খ্রি. তারিখ সখিপুর উপজেলায় উপজেলা নির্বার্হী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে গণ-শুনানী গ্রহণ করা হয়। অত্র টাঙ্গাইল বন বিভাগের মতামত রেকর্ডপত্রসহ উক্ত কমিটির নিকট প্রেরণ করা হয়েছে।

পলাশতলী

৫.০৫

৪.০৫

কুড়িপাড়া

৮১.৯২

৮১.৮২

০.১

মজিদপুর

১৩৭.৪৬

১৩৭.৩৬

০.১

পেকুয়া

১৫৮.৮৭

১৫৫.৫৫

৩.৩২

গাজেশ্বরী

১৩৪.৯

১৩০.৩৭

৪.৫৩

আজগানা

১১৩.৫১

১১৩.৫১

-

চিতেশ্বরী

৭৬৯.৯২

৭৩৮.৯৭

৩০.৯৫

তেলিনা

৯১৬.৩২

৭৪২.৮৬

১৭৩.৪৬

বংকুরী

৩৪৬.৬৭

৩৩৩.৫৫

১৩.১২

মোট

7,576.36

৭,৩১৮.৭০ -৯৬.৬০ = ৭,২২২.১০

৩৫৪.২৬

টাঙ্গাইল

কালিহাতিী

পাইকপাড়া

186.32

26.48

159.84

সোমাজানিইদিলপুর

281.95

7.02

274.93

নালিয়াচালা

191.02

191.02

-

মোট

659.29

224.52

434.77

টাঙ্গাইল

ঘাটাইল

দেওপাড়া

2.12

2.12

-

রামদেবপুর

1,315.83

*1,340.88

-

শহরগোপিনপুর

884.20

843.20

41.00

মুরাইদ

958.17

912.13

46.04

সরাবাড়ী

114.50

114.50

-

গিলাবাড়ী

100.00

100.00

-

সংগ্রামপুর

81.42

81.42

-

কাঁচতলা

1.545

1.545

-

মানিকপুর

1.18

1.18

 

মালিরচালা

896.14

*897.19

-

কামালপুর

555.30

*556.38

-

বগা

2,250.69

1908.82

341.87

গৌরীশ্বর

1,436.73

1,285.48

151.25

ছনখোলা

123.21

117.04

6.17

এগারকাহনিয়া

863.46

820.49

42.97

কুশারিয়া

1,243.59

*1440.11

-

গড়জয়নাবাড়ী

608.67

15.55

593.12

কালিকাপুর

449.24

-

449.24

চৈতারবাইদ

366.40

-

366.40

বারইপাড়া

31.87

30.27

1.60

রসুলপুর

27.38

23.34

4.04

শিবেরপাড়া

48.92

-

48.92

টাঙ্গাইল

ঘাটাইল

গন্ডঘোষ

70.47

60.29

10.18

পাটালিগোবিন্দুপুর

54.68

54.68

-

চাম্বলতলা

361.04

361.04

-

কোচপাড়া

516.46

516.46

-

ডেল্টা

75.12

75.12

-

মনাজি

712.23

-

712.23

সন্ধানপুর

2,518.57

2,085.76

432.81

হরিণা

649.04

590.04

59.00

চৌরাশা

110.42

-

110.42

রহতখাঁরবাইদ

245.495

245.495

-

বৈলকান্দা

0.69

0.69

-

দিয়াবাড়ী

5.44

5.44

-

কুচক্ষিরা

296.29

296.29

-

মালেঙ্গা

114.68

114.68

-

যোদবাইদ

35.00

35.00

-

ধনালীবাইদ

10.23

10.23

-

ঘোড়ামারা

45.65

-

45.65

কাউটেনগর

12.69

12.69

-

পাগারিয়া

479.00

470.60

8.40

কুমারপাড়া

159.05

129.65

29.40

মাকড়াই

114.07

109.00

5.07

মাকড়াই ভবানী

19.50

19.50

-

বানিকাত্রা

108.44

108.44

-

বানিভাষা

234.55

-

234.55

পাঞ্জারচালা

17.33

16.50

0.83

ফুলমালীরচালা

1,716.12

1708.54

7.58

শালিয়াবহ

812.65

*836.50

-

বড়মেদার

1.00

-

1.00

মোট

21,855.47

18,353.27-                                                                                                   247.54 = 18,105.73

3,749.74

 

 

 

 

 

 

 

টাঙ্গাইল

সখিপুর

ঘেচুয়া

503.34

*560.50

-

আমতৈল

470.74

*472.76

-

বাঘেরবাড়ী

112.24

93.25

18.99

কাকড়াজান

2,735.38

2,585.20

150.18

সুরিরচালা

478.53

356.30

122.23

মহানন্দপুর

174.50

164.20

10.30

গড়বাড়ী

747.81

747.81

-

কৈয়ামধু

40.00

40.00

-

কেপিজিচালা

1,893.98

1817.14

76.84

বগা (বগাপ্রতিমা)

962.19

962.19

-

কালিয়া

1,857.58

1816.58

41.00

বড়চওনা

1,518.38

1485.50

32.88

ঢনঢনিয়া

362.79

*364.27

-

বড়চালা

344.92

*371.96

-

কালিদাস

1,685.40

1633.44

51.96

জিকেখোলা

1,828.32

1699.10

129.22

মোচারিয়াপাথার

1,387.81

1285.22

102.59

বহেড়াতৈল

1,941.56

1,941.56

-

যাদবপুর

186.10

*224.20

-

পাহাড়কাঞ্চনপুর

639.06

*640.49

-

নলুয়া

420.57

403.96

16.61

কাহার্তা

518.52

511.36

7.16

যোগিরকোপা

52.82

*52.84

-

তক্তারচালা

1,534.55

1521.20

13.35

সিলিমপুর

253.19

*257.59

-

বোয়ালী

887.09

860.50

26.59

দাড়িয়াপুর

416.99

416.99

-

ডিবিগজারিয়া

1,667.38

1480.50

186.88

শোলাপ্রতিমা

443.71

*449.37

-

চকচকিয়া শ্রীপুর

347.91

*362.21

-

কুতুবপুর

2,088.30

2075.00

13.30

শালগ্রামপুর

28.81

*30.58

-

কালিয়ান

27.01

*27.95

-

কচুয়া

889.63

859.57

30.06

বেতুয়া

279.31

278.58

0.73

হামিদপুর

165.44

165.44

-

ইন্দ্রাজানী

640.62

625.20

15.42

ভাতগড়া

166.65

166.66

-

ঘাটেশ্বরী

203.97

196.38

7.59

গোহাইলবাড়ী

23.12

23.12

-

হাতিবান্ধা

1322.05

-

1322.05

রতনপুর

196.55

-

196.55

বিসিবাইদ

2638.99

-

2638.99

সখিপুর

14.76

-

14.76

লাঙ্গুলিয়া

680.17

-

680.17

প্রতিমাবঙ্কী

1410.06

-

1410.06

বাজাইল

300.64

-

300.64

কালমেঘা(তালেপাবাদ)

7299.13

-

7299.13

কালমেঘা(দেওয়ানপুর)

541.13

-

541.13

গড়গোবিন্দপুর

220.52

-

220.52

বেড়বাড়ী

1570.38

-

1570.38

হতেয়া

1570.38

-

1570.38

মোট

47,220.60

30,026.66 -154.32=29872.34

17,348.26

টাঙ্গাইল

মধুপুর

চুনিয়া

2.696.69

2,529.22

167.47

আউশনারা

113.37

*117.34

-

হলদিয়া

21.51

*22.07

-

মহিষমারা

1,892.24

*2025.32

-

জয়নাতৈল

9.36

9.36

-

বেতবাড়ী

6.61

6.61

-

লাউফুলা

357.23

275.97

81.26

ইদিলপুর

7.56

7.52

0.04

ফুলবাগচালা

1,955.35

1,955.35

-

শোলাকুড়ি

2,469.65

*2,488.93

-

পীরগাছা

11,697.92

11,125.80

572.12

জোরামগাছা

2,777.45

2,612.31

165.14

গাছাবাড়ী

337.92

*389.71

-

চাপাইদ

407.43

380.89

26.54

বেরীবাইদ

7,333.00

7,333.00

-

অরণখোলা

13,248.24

13,248.24

-

               

 

টাঙ্গাইল

মধুপুর

পিরোজপুর

179.28

159.44

19.84

রামকৃষ্ণাবাড়ী

54.72

7.17

47.55

মোট

45,565.18

44,694.20 - 208.68=44,485.52

1,079.66

সর্বমোট

1,22,876.90

1,00,617.34 - 707.16=99,910.18

22,966.72

 

সার সংক্ষেপ

 

উপজেলার নাম

গেজেটভূক্ত মোট বনভূমির পরিমাণ (একর)

বি.এস জরিপে বন বিভাগের নামে রেকর্ডকৃত বনভূমির পরিমাণ (অন্যের জমি ৭০৭.১৬ একর সহ) (একর)

দিয়ারা জরিপে বনভূমি অন্যের নামে রেকর্ড এর পরিমাণ (একর)

অন্যের জমি বন বিভাগের নামে রেকর্ড এর পরিমাণ  (একর)

গেজেটভূক্ত বনভ‚মি বন বিভাগের নামে রেকর্ড হয় নাই/অন্যের নামে রেকর্ড হয়েছে এমন বনভূমির পরিমান (একর)

মির্জাপুর

7,576.36

7,318.70

-

96.60

354.26

কালিহাতী

659.29

224.52

-

-

434.77

ঘাটাইল

21,855.47

18,353.26

-

247.55

3,748.74

সখিপুর

47,220.60

30,026.66

17,961.76 - 1,667.38 = 16,294.38

154.33

17,348.26

মধুপুর

45,565.18

44,694.20

-

208.68

1,079.66

মোট

1,22,876.90

1,00,617.34

- 707.16

= 99,910.18

17,961.76 - 1,667.38

= 16,294.38

707.16

দিয়ারা  16,294.38GKi

অন্যান্য 6,672.34GKi

মোট 22,966.72 GKi